জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করল অসম সরকার। সরকারি পোর্টাল nrcassam.nic.in সম্পূর্ণ তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় নাম রয়েছে ৩.৩০ কোটি আবেদনকারীর। জুলাইয়ে এনআরসি’র প্রথম খসড়ায় বাদ পড়েছিল ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম। ফের নাগরিকত্ব প্রমাণে নথি জমা দেন তাঁরা। আগস্ট মাসে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায়, ৪০ লক্ষ থেকে এক ধাক্কায় তালিকা থেকে বাদের নাম নেমে আসে ১৯ লক্ষে। যদিও এই চূড়ান্ত তালিকা অসম্পূর্ণ বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা। বিজেপি’র একাংশও মনে করছে, প্রত্যাশিত তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি এনআরসি কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে ১৯৭১ সালের পরে বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের আলাদা করতেই এই তালিকা বলে দাবি সরকারের। চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকলে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছেন এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা। তবে শেষমেশ যাঁরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন না, তাঁদের ‘অনাগরিক’ বা ‘রাষ্ট্রহীন’ বলে ঘোষণা করা হবে এবং এঁদের শরণার্থী শিবিরে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই গোয়ালপাড়া জেলায় ৪৬ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি শরণার্থী শিবির তৈরি হচ্ছে। যার ধারণ ক্ষমতা থাকবে মাত্র ৩ হাজার মানুষের। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাষ্ট্রহীনদের সংখ্যা লক্ষাধিক পৌঁছলে, তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পের রাখার মতো পরিকাঠামো কেন্দ্র করতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ফরেনার্স ট্রাইবুনালে নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে ১২০ দিন সময় পাওয়া যাবে। সেখানেও অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হলে উচ্চতর আদালতে আবেদন করা সম্ভব।
