বুধবারই শেষ হল অযোধ্যা মামলার শুনানি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চরম নাটকীয় পরিস্থিতি হয়ে উঠল সওয়াল–জবাব পর্ব। শুনানির মধ্যেই বিতর্কিত জমির একটি মানচিত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। তাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এই ঘটনায় অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়ে আদালত ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে এক ঘণ্টা আগেই শেষ হল অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি। আজ রায় জানায়নি সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। ২৩ দিন পর রায় শোনানো হবে বলে খবর।
ঠিক কী ঘটে সর্বোচ্চ আদালতে? এদিন আদালতে কিছু নথি পেশ করেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিকাশ সিং। ওই নথির মধ্যে ছিল একটি বই। বইটির লেখক কিশোর কুণাল। এরপরই তীব্র আপত্তি করে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান। হিন্দু মহাসভার পেশ করা ওই বই, কিছু নথি এবং ম্যাপ ছিঁড়ে ফেলেন ধাওয়ান। যা নিয়ে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয় এজলাসে। বইয়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মানচিত্র ছিঁড়ে ফেলেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী। যার জেরে আদালতে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান বলে ওঠেন, ‘এই ধরনের বইয়ের উপর সুপ্রিম কোর্টের নির্ভর করা উচিত নয়।’ তার পরই তিনি বইটি ছিঁড়ে ফেলার অনুমতি চান। বিচারপতিদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা ছিঁড়ে ফেলার জন্য কি আপনাদের অনুমতি পেতে পারি?’ বিরক্ত হয়ে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, ‘যা ইচ্ছে, তাই করুন।’ তার পরই বইয়ে থাকা ‘রাম জন্মভূমি’ চিত্রিত একটি মানচিত্রের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন তিনি।
ওই ঘটনার পর হিন্দু মহাসভার আইনজীবীকে ফের নথি পেশ করতে বলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আপনারা আদালতের সময় নষ্ট করছেন। ওইসব নথি পড়ে দেখে নিতে পারেন বিচারপতিরা। এরকম চললে এজলাস ছেড়ে চলে যেতে পারেন বিচারপতিরা বলে হুঁশিয়ারি দেন। এদিন শুনানির শুরুতেই আরও কিছু দিনের সময় চেয়েছিলেন এক আইনজীবী। রাজি না হয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ঢের হয়েছে! আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে অযোধ্যা শুনানি শেষ করতেই হবে।’