লিড নিউজ

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ রাজ্যসভায়

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও সাফল্য ধরে রাখল নরেন্দ্র মোদীর এনডিএ সরকার। রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিল কেন্দ্র। বিলের পক্ষে ভোট ১২৫। বিপক্ষে ১০৫ জন সাংসদ। পরাজিত হয়েছে তৃণমূলের আনা সংশোধনীও। বিরোধীদের শেষ মূহূর্তে হতাশ করে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল অথবা উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা কেউই বিলের বিপক্ষে ভোট দিল না। নীতীশ কুমারের দল লোকসভার মতো বিলের পক্ষে ভোট দেয় রাজ্যসভাতেও। আর শেষ মূহূর্তে ভোটাভুটি বয়কট করে শিবসেনা। যা কার্যত সরকারকেই সহায়তা করা হল। কারণ তাতে গরিষ্ঠতার সংখ্যা অর্জন সহজ হয়ে যায় কেন্দ্রের কাছে। বিল পাশের পর উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এটা ঐতিহাসিক ঘটনা। আর কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধী বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে কালো দিন। এই পাশ করানো বিল পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের পরই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯, আইনে পরিণত হয়ে যাবে।
রাজ্যসভার পরিস্থিতি হল, রাজ্যসভায় আসনসংখ্যা ২৪৫। বর্তমানে রয়েছেন ২৪০ জন। ৫টি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ফলে ১২১ জনের সমর্থন পেলে পাশ হয়ে যাবে এই বিল। এখন রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৮৩।
এদিকে শিবসেনা রাজ্যসভার সম্ভাব্য ভোটাভুটিতে সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবে বলে দাবি করেছেন এক বর্ষীয়ান বিরোধী নেতা৷ তবে সংখ্যাতত্ত্ব ও ফ্লোর ম্যানেজমেন্ট কৌশলে রাজ্যসভায় সরকারকে প্রতিহত করা সম্ভব নয় জেনেই বিলের বিরুদ্ধে তাদের আদর্শগত লড়াইকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে চাইছেন বিরোধীরা৷ বিল পাশ করার আগে ওদের অনেক রক্ত ঝরাব বলে প্রতীকী জবাব দিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ এই প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বিজেপিকে সাহায্য করে এআইএডিএমকে(১১), জেডিইউ(৬), শিরোমনি অকালি দল(৩) এবং ১৩ অন্যান্য সাংসদ। সবমিলিয়ে ১১৬। এছাড়াও বিজেপিকে সমর্থন করে বিজু জনতা দল(৭), ওয়াইএসআর কংগ্রেস(২), টিডিপি(২)। তাহলে হবে মোট ১২৭ সাংসদ।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় সংখ্যার নিরিখে তাদের হার নিশ্চিত বুঝে বিরোধী শিবিরের তরফে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটিকে প্রত্যাহারের পরিবর্তে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্যসভায় বিরোধী শিবিরের হয়ে প্রথম বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বাল৷ এই বিলটি সংবিধানের মৌলিক ধারার পরিপন্থী তা বোঝাবেন৷ এরপরে তৃণমূলের তরফে বিলটির বিরোধিতা করেন রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। বিরোধী শিবিরে রয়েছে ডিএমকে(৫), আরজেডি(৪), এনসিপি(৪), কেসি(১), পিএমকে(১), আইইউএমএল(১), এমডিএমকে(১)। মোট ১৭। এছাড়াও টিএমসি(১৩), সপা(৯), সিপিএম(৫), বসপা(৪), আপ(৩), পিডিপি(২), সিপিআই(১), জেডিএস(১), টিআরএস(৬) ভোট দেয় বিলের বিরুদ্ধে।