দুই সম্প্রদায়ের বেপরোয়া সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুর এলাকা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সংঘর্ষের ফলে এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা দোকানদার আশাদুল ইসলামকে (৩০) হাটখোলা এলাকার স্থানীয় ক্লাবে ঢুকিয়ে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই আমডাঙা, দত্তপুকুর এবং দেগঙ্গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেলার মাঠে মহিলাকে কটূক্তি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় র্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নামাতে হয়। অশান্তির জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যশোর রোড। বনগাঁ শাখায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। দুর্ভোগে পড়েন ওই লাইনের রেলযাত্রীরা। এই ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে স্টল দিয়েছিলেন নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা আশাদুল ইসলাম। সেখানে এক মহিলা ক্রেতার সঙ্গে দরদাম নিয়ে বচসা শুরু হয় আসাদুলের। মহিলার অভিযোগ, বচসা চলাকালীন তাঁর শ্লীলতাহানি করে আশাদুল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই শ্লীলতাহানির খবর মহিলা গিয়ে পার্শ্ববর্তী ক্লাবে জানালে, ক্লাবের ছেলেরা এসে দু’জনকে মারধর করে। মারধরের চোটে তাদের একজন মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত যুবকের মৃত্যুর খবর পাশের গ্রামে গেলে সেখান থেকে লোকজন এসে ওই ক্লাবের উপর হামলা করে। এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ মৃত যুবকের দেহ উদ্ধার করলেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল। পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় র্যাফ নামাতে হয়। আসে কমব্যাট ফোর্সও। দু’পক্ষের ইটবৃষ্টির মাঝে পড়ে কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে খবর। এমনকী বোমা পড়ে বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। মৃত যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।