স্বাস্থ্য

তরমুজের পুষ্টিগুণ ও সতর্কতা

এসময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেকেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছেন। প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে যুক্ত করেছেন অতিরিক্ত ফলমূল। তবে অনেকেই পুষ্টি ও গুনাগুণ সম্পর্কে না জেনে একই রকমের ফল বেশি বেশি খাচ্ছেন। নিজের শরীরে কোন ধরণের ফল জরুরি তা না ভেবেই খাচ্ছেন কখনও কখনও। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তরমুজের কথা। ক্লান্তি দূর করে মনে প্রশান্তি আনতে গ্রীষ্মের এই সময়টাতে অনেকেই তরমুজ খান। তবে তরমুজের যতই গুনাগুণ থাকুক, কোনো কোনো শরীরের জন্য সব সময় তা উপযোগী না। চলুন জেনে নিই তরমুজের পুষ্টিগুণ ও কিছু ক্ষতিকর দিক। যা না জেনে খেলে বিপদও হতে পারে।

তরমুজের পুষ্টিগুণ

  • গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায় খুব কম ক্যালরিযুক্ত একটি ফল। তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই জল।
  • USDA ডায়টারি গাইডলাইন অনুযায়ী ১০০ গ্রাম তরমুজে রয়েছে মাত্র ৩০ কিলোক্যালরি। তাই এতে ওজন বৃদ্ধির ও ভয় নেই।
  • এটি ভিটামিন-বি৬ এর চমৎকার উৎস যা মস্তিষ্ক সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমায়।
  • নিয়মিত খেলে প্রোটেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার,ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে না।
  • তরমুজের ক্যারটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
  • তরমুজে থাকা উচ্চ পরিমাণে সিট্রুলিন মানব দেহের ধমনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।

তরমুজ নিয়ে সতর্কতা

  • খালি পেটে কখনও তরমুজ খাবেন না। এতে পেটের মধ্যে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। এমন কি ডায়রিয়া, পাতলা পায়খানা পর্যন্ত হতে পারে।
  • রাতের বেলায় তরমুজ খাওয়া একেবারেই অনুচিত।
  • দৈনিক ৩০মিলিগ্রামের বেশি লাইকোপেন গ্রহণ খাদ্যে অরুচি, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাবের কারণ হতে পারে।
  • যাদের দেহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পটাশিয়াম থাকে তাদের দৈনিক ১ কাপের বেশি তরমুজ গ্রহণ করা উচিত নয়। অতিরিক্ত পটাশিয়াম অনিয়ন্ত্রিত হৃদকম্পন ও পেশীর ওপর নিয়ন্ত্রণ হ্রাস করে।
  • দাঁতের এলার্জি, মুখের ঘা, কিডনি ও পেটের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষ; গর্ভবতী নারী এবং ডায়াবেটিস রোগীদের তরমুজ খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।