উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর থেকেই গৃহবন্দি রয়েছেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জানা গিয়েছে, ওমর আবদুল্লা আর মেহবুবা মুফতির মুক্তির ব্যাপারে এখনই কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর জনসুরক্ষা আইন (পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট) প্রয়োগ করা হল। এঁদের সঙ্গেই পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) ও ন্যাশনাল কনফারেন্স আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে এই আইন কার্যকর হয়েছে।
এই আইনে কোনও বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই একজনকে দু’বছর পর্যন্ত আটকে রাখা যায়। সূত্রের খবর, এই দুই নেতাকে অন্তত ৩ মাস জেলে রাখা হতে পারে। তাঁদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সই করেন জেলাশাসক। একদা এই আইনকে বলা হত জম্মু–কাশ্মীর সুরক্ষা আইন। যা এনেছিলেন ফারুক আবদুল্লার বাবা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, শেখ আবদুল্লা। পাচারকারীদের ধরতে এই আইন এনেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধেও একই ধারা প্রয়োগ করা হয়। আদালতে মামলাও হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনসুরক্ষা আইনের আওতায় তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ওমর এবং মেহবুবা মুফতি ছাড়াও ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে এদিন এই ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। ফারুক আবদুল্লাই প্রথম মূলস্রোতের রাজনীতিবিদ, যাঁর বিরুদ্ধে এই জনসুরক্ষা আইন কার্যকরা করা হয়। তিনি তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ।