লাইফস্টাইল

ঘরেই বানানো যায় জীবাণুনাশক

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের এখন পর্যন্ত কার্যকর উপায় ব্যক্তিগত সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতা। গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, ভয়ংকর এই ভাইরাস বাতাসে তিন ঘণ্টা, তামার ওপর চার ঘণ্টা, কার্ডবোর্ডের ওপর ২৪ ঘণ্টা এবং প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলের ওপর দুই থেকে তিন দিন বেঁচে থাকতে পারে। এমন অবস্থায় এসব বস্তুতে থাকা জীবাণু থেকেও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে কোভিড-১৯ রোগে (করোনাভাইরাস)।

বাজারে সহজলভ্য ব্লিচিং পাউডার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খুবই কার্যকর হতে পারে। নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে তৈরি করা যায় এই জীবাণুনাশক। ব্লিচিং পাউডার বাজারে গুঁড়া হিসেবে পাওয়া যায়। এটা দিয়ে দু ধরনের বেশি ঘনত্বের ও কম ঘনত্বের জীবাণুনাশক হয়। বেশি ঘনত্বের জীবাণুনাশক দিয়ে অধিক সংক্রামক বর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির দেহ জীবাণুমুক্ত করা যায়। আর কম ঘনত্বের জীবাণুনাশক দিয়ে সাধারণ পরিচ্ছন্নতার কাজ করা যায়। যার মধ্যে রয়েছে ঘরের আসবাব, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, ফ্লোর, গাড়ি ইত্যাদি।

বেশি ঘনত্বের জীবাণুনাশক তৈরির প্রক্রিয়া
বেশি ঘনত্বের জীবাণুনাশকের অনুপাত হবে ১: ১০। এ জন্য দুই লিটার জলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার যোগ করতে হবে। এরপর জলের সঙ্গে মেশার জন্য আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

কম ঘনত্বের জীবাণুনাশক তৈরির প্রক্রিয়া
এমন জীবাণুনাশকের অনুপাত হবে ১: ১০০। এ ক্ষেত্রে ২০ লিটার জলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ব্লিচিং পাউডার যোগ করতে হবে। জলে ব্লিচিং পাউডার যাতে ভালোভাবে মিশতে পারে, সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে আধঘণ্টা। মেশার পর এই জীবাণুনাশক বোতলে সংরক্ষণ করা যাবে।