কলকাতায় গোমাতার পুজো এবং এবং গোমূত্র পানের আসর বসিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। করোনার কোনও প্রতিষেধক যে হেতু এখনও আবিষ্কার হয়নি, সে হেতু গোমূত্র পানই বাঁচার একমাত্র উপায় বলে দাবি করেছিলেন তিনি। করোনা ভাইরাস রুখতে গোমূত্র বিক্রি করায় জোড়াবাগান থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭৮/১১৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
জোড়াবাগানে গোরুকে পুজো করা হয়। তার পরে তামার ঘটিতে করে গোমূত্র বিতরণ করা হয়। স্থানীয় লোকজনের হাতে গোমূত্র ঢেলে দিতে দেখা যায় ওই বিজেপি নেতাকে। করোনা রোধের মহাঔষধ হিসেবে গোমূত্র পানের ওই আসরে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরাও গোমূত্র পান করেন। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এক পুলিশমকর্মী। তাঁর হাতেও ঢেলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে চরণামৃত বলে খাওয়ানো হয়েছিল গোমূত্র। অভিযোগকারী ওই পুলিশকর্মী নাম পিন্টু প্রামাণিক।
ডানকুনি, আসানসোলে, কোভিড–১৯–এর অব্যর্থ ওষুধ বলে গোমূত্র এবং গোবর বিক্রি হচ্ছে। বিজেপি’র পক্ষ থেকে জোড়াসাঁকোয় গোরু পুজোও করা হয়েছিল। পুজো দেখতে আসা মানুষদের হাতে চরণামৃত বলে গোমূত্র দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রতারণা ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ডানকুনি থানার পুলিশ।
