কবিগুরুর কথায় বলতে হয়, ‘কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি’। আজ অবশ্য এই কথাটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ যাবতীয় অভিযোগ থেকে ‘বেকসুর খালাস’ হয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সিনেটে চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে তাঁকে ইম্পিচ করার বিরুদ্ধেই ভোট পড়ল বেশি। ফলে প্রভাতে এই খুশির খবরে তিনি থাকছেন মার্কিন মুলুকেই।
ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে সেনেটে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হয়। ভোট দেন সিনেটের ১০০ সদস্যই। এই হাউজে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে ট্রাম্প যে ইম্পিচমেন্ট এড়িয়ে যাবেন তা আগে থেকেই বোঝা যেত।
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন ছিল দুই–তৃতীয়াংশ বা ৬৭টি ভোট। সেখানে দুই প্রস্তাবের ভোটাভুটিতেই ডেমোক্র্যাটদের ভোট পড়ল রিপাবলিকানদের থেকে কম।
দুটি ইস্যুতে ভোটাভুটি হয়। প্রথম অভিযোগ, ট্রাম্প তাঁর পদ ব্যবহার করে তাঁর ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। দ্বিতীয়, ইম্পিচমেন্টের তদন্তে সহায়তা না করে তিনি কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন। প্রথম প্রস্তাবে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট পড়ে ৫২–৪৮। দ্বিতীয়তে ৫৩–৪৭।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে। এই কক্ষে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সবাই ভোট দেন পার্টি লাইন অনুযায়ী। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়। কিন্তু সিনেটে যে প্রস্তাবটি পাশ হবে না, সেটা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। আর সেটাই হল।