শনিবার মেরঠের পুলিশ সুপার বলেছিলেন, পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা। আরএসএস প্রধান মোহত ভাগবত দাবি করেন, দেশের সবাই হিন্দু নন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুর বিস্ববিদ্যালয়ের এক বিক্ষোভকারী ছাত্রকে বলেছেন, তোমার দেশে তোমাকে পাঠিয়েই তারপর জবাব দেব। প্রধানমন্ত্রী–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা তো ছেড়ে দিতে হয়। কারণ তাঁদের তৈরি করা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশে আগুন জ্বলেছে। এবার বাড়তি সংযোজন করলেন আরও এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারত মাতা কি জয় যাঁরা বলবেন একমাত্র তাঁদেরই এদেশে থাকার অধিকার রয়েছে। এদেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে। পুনেতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের ৫৪তম জেলা সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘ভগৎ সিং, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মত্যাগ ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর কে দেশের নাগরিক আর কে নয়, তা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়ার কোনও মানে নেই। আমরা এই দেশটাকে ধর্মশালা করে ফেলতে চাই না। এদেশে থাকতে হলে ভারত মাতা কি জয় বলতে হবে।’
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র এদিন মঞ্চে উঠেই আবেগপ্রবণ হয়ে বলতে থাকেন, অন্য দেশ থেকে এসে এখানে অনেকেই বসবাস করছেন। একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মত এক হওয়া উচিত। এই দেশে তাঁরাই থাকতে পারবেন যাঁরা ভারত মাতা কি জয় বলবেন। উল্লেখ্য, সারা দেশে নাগরিক সংশোধিত আইন ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। তার মধ্যেই বিতর্ক তৈরি করছেন একের পর এক বিজেপি নেতা–মন্ত্রী। যা ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যে ফের উত্তেজনা ছড়াতে পারে।
