ব্রেকিং নিউজ

কে এই সন্মুগা সুব্রহ্মণ্যম?‌ জানুন

চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমকে খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রয়েছে চেন্নাইয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সন্মুগা সুব্রহ্মণ্যমের। সেই সন্মুগা সুব্রহ্মণ্যমকে মঙ্গলবারই সম্মান জানিয়েছে নাসা। ৩৩ বছরের চেন্নাইয়ের এই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আদপেই জ্যোতির্বিজ্ঞানী নন। চন্দ্রযান–২ দলের সঙ্গেও কোনওভাবে যুক্ত নন তিনি। ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য তাঁকে আকর্ষণ করে।
মঙ্গলবার ভোরে ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। সেখানে একটি জায়গাকে ‘এস’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই জায়গাটিকেই নাসার প্রকাশ করা ছবি দেখে চিহ্নিত করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম। সাংবাদিকদের সন্মুগা জানান, বিক্রম ল্যান্ডারকে খুঁজে পেতে নাসার ব্যর্থতাই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এই সন্ধানে। তিনি বলেন, ‘‌আমি নিজের ল্যাপটপে, পাশাপাশি দুটি ছবি রেখে তুলনা করছিলাম। একদিকে নাসার প্রকাশ করা পুরনো ছবি, আর একদিকে নতুন ছবি। সেটা খুব কঠিন হলেও আমি প্রায় ৪–৫ দিন ধরে এর পেছনে ৭–৮ ঘণ্টা ব্যয় করেছি। এটা যে কেউ করতে পারত ঠিক জ্ঞান থাকলেই। বিক্রম ল্যান্ডারের প্রস্তাবিত পথটা আগে খোঁজার চেষ্টা করেছি। তারপর ওই নির্দিষ্ট জায়গাটায় সাধারণ জিনিসের মধ্যেই আমি কিছু অন্যরকম দেখতে পেয়েছিলাম। তখনই আমার মনে হল ওইগুলো ধ্বংসাবশেষ হতেও পারে।’‌
টুইটে সুব্রহ্মণ্যমের কৃতিত্বের কথা লিখেছে নাসা। নাসা কৃতিত্ব দেওয়ার পর নিজের টুইটার বায়ো বদলে ফেলেছেন সুব্রহ্মণ্যম। সেখানে লিখেছেন, ‘আমিই বিক্রমকে খুঁজে পেয়েছি’। গত ৩ অক্টোবর ও ১৭ নভেম্বর টুইট করেন তিনি। সেই দুই টুইটে তিনি নাসাকে ট্যাগও করেন। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘এটাই কি ল্যান্ডার বিক্রম!’। পরের টুইটে তিনি জোরালভাবে দাবি করেন, ‘এটাই বিক্রম ল্যান্ডারের ভেঙে পড়ার জায়গা হতে পারে।’
নাসার অন্যতম জ্যোতির্বিজ্ঞানী নোয়া পেট্রো, সন্মুগার প্রশংসা করে বলেন, ‘চন্দ্রযান–২ দলের সঙ্গে যুক্ত না হয়েও শুধু নিজের উৎসাহের তাগিদেই ছবি দেখে, প্রতিটা পিক্সেল খুঁটিয়ে দেখে, আমাদের তথ্য ব্যবহার করে সেই জায়গাটা চিহ্নিত করেছেন যেখানে কিছু পরিবর্তন ছিল। যেটা আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। আর ওই জায়গাটা খুঁজে পেয়েছেন।’ যে সম্মান তাঁর প্রাপ্য ছিল ভারত সরকারের কাছ থেকে সেই সম্মান দু’‌মাস পর হলেও ‌সন্মুগা পেলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার কাছ থেকে।