আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি গুরুদ্বারে বন্দুকবাজদের গুলি চালানোর কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। আফগানিস্তানে শিখরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। তার জেরে কী এই হামলা? প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ নরেন্দ্র সিং খোসলা। তিনি জানান, যখন দুস্কৃতীরা হামলা করে পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল। তাও রোখা যায়নি।
অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি টুইটে লিখেছেন, কাবুলের গুরুদ্বারে আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা করা দরকার। এই হত্যাকাণ্ড এমন এক নৃশংসতার স্মরণীয় স্মৃতি যা কিছু দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আঘাত হানছে। জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের জীবন ও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। হামলা চলাকালীন এই শিখ উপাসনা গৃহে কমপক্ষে ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। তখনই অতর্কিত হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। শিখ সাংসদ নরেন্দ্র সিং খাসলা জানান, হামলার সময় তিনি গুরুদ্বারের কাছাকাছিই ছিলেন। খবর পেয়েই ছুটে যান।
জানা গিয়েছে, আফগান সেনা কাবুলের ওই গুরুদ্বারের প্রথম তলাটি কবজা করে নেয়। ওই জায়গাটিতেই জঙ্গিরা কবজা করে রেখেছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে থাকা মানুষদের উদ্ধার করা হয়েছে। হামলার দায় এখনও কেউ নেয়নি। তালিবান নেতা জাবিহুল্লাহ মুজাহেদ টুইট করে জানান, তালিবানরা এর সঙ্গে যুক্ত নেই। এই মাসের শুরুতেই ইসলামিক স্টেটের সহযোগী একটি সংগঠন রাজধানী কাবুলে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমানদের এক সমাবেশে হামলা চালিয়ে ৩২ জনকে হত্যা করেছিল। এই হামলার নেপথ্যে কী ফের তারাই?