লাইফস্টাইল

করোনার কারণে কমে যায় প্রজনন ক্ষমতা?

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে কমে যেতে পারে পুরষদের প্রজনন ক্ষমতা, এমনকি এর কারণে বরণ করতে হতে পারে বন্ধ্যাত্বের পরিণতিও। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) চীনের হুবেই প্রদেশের সরকারি ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে এ তথ্য। ওই ওয়েবসাইটে তারা জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে পুরুষদের প্রজনন সক্ষমতায় অনেক বড় বাধার সৃষ্টি করে। কোনো পুরুষ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে করোনাভাইরাস তার শুক্রাশয়ে আঘাত হানতে পারে। আর এতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শুক্রাশয়ের কার্যক্ষমতা। ইতোমধ্যে যেসব পুরুষ করোনায় সুস্থ হয়েছেন, তাদের ফার্টিলিটি টেস্ট (প্রজনন সক্ষমতা) করার পরামর্শ দিয়েছেন চীনের চিকিৎসকরা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাস ও সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) একই গোত্রভুক্ত। দুটি ভাইরাসই এইস২ নামে একটি এনজাইমের সঙ্গে মিশে শরীরের কোষে আক্রমণ করে। এইস২ সাধারণত অণ্ডকোষ, কিডনি ও হৃদযন্ত্রেই বেশি থাকে। এ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণে পুরুষদের অর্কাইটিস (অণ্ডকোষে প্রদাহ) হতে পারে, যার ফলে শরীরে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে গিয়ে বন্ধ্যাত্বও সৃষ্টি হতে পারে।

যদিও হুবেই সরকারের ওয়েবসাইটে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা সরিয়ে ফেলে। তবে কী কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে জানানো হয়নি কিছুই। অন্য বিশেষজ্ঞরাও ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত। সাংহাইয়ের ইউয়েইয়াং হাসপাতলের পুরুষরোগ বিশেষজ্ঞ কি গুয়াংচং বলেন, ভাইরাসজনিত সংক্রমণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া নতুন কিছু নয়। হেপাটাইটিস বি, মাম্পসের মতো রোগে অনেকেরই এ ধরনের সমস্যা হয়। মাম্পসের এক তৃতীয়ংশ রোগীই অর্কাইটিসে ভোগেন। এ কারণে যেসব পুরুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের প্রজনন ক্ষমতা ঠিক আছে কি না, সে বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরার্মশ নেওয়া উচিত।