ভারতে নতুন করে আরও দু’জনের দেহে সংক্রমণ ছড়াল। ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৮৪ জন। এদের মধ্যে ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ১৭ জন বিদেশি রয়েছেন। শনিবার সকালে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। মুম্বইয়ের দুই বাসিন্দার দেহে নোভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে বলে খবর।
গতকাল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮১। তবে শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রে আরও দু’জনের আক্রান্তের খবর মেলে। তার জেরেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৩। গতরাতে মহারাষ্ট্রের মুম্বই ও আহমেদনগরে দু’জনের শরীরে করোনার নমুনা মিলেছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার কর্নাটকের কালবুর্গি জেলায় সৌদি ফেরত ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধ প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার রাতে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয় ৬৮ বছরের এক মহিলার। জ্বর–সর্দি নিয়ে গত ৭ মার্চ রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিম দিল্লির জনকপুরীর বাসিন্দা ওই মহিলা। সম্প্রতি তাঁর ছেলে (৪৮) সুইৎজারল্যান্ড এবং ইটালি ঘুরে দেশে ফিরেছিলেন। তাঁর কাছ থেকেই করোনায় আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধা।
দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। শিক্ষাঙ্গন থেকে ক্রীড়াক্ষেত্র, কর্পোরেট অফিস থেকে আদালত, বিধানসভা—সর্বত্রই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেক রাজ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল–কলেজও। দিল্লি–হরিয়ানায় করোনাকে মহামারী ঘোষণা করেছে ওই দুই রাজ্যের সরকার। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকেও সমস্ত স্কুল, সুইমিংপুল, জিম, প্রেক্ষাগৃহ, পার্ক বন্ধ রাখার জন্য শুক্রবার নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাজস্থানেও পরিস্থিতি একই। সংক্রমণ রুখতে জমায়েত এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর তারপরই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের সিরিজ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএলও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
