অসম, ত্রিপুরার পর এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন আছড়ে পড়ল মেঘালয়ে। ছড়িয়ে পড়ল বিক্ষোভ। যার ফলে শিলংয়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
শিলংয়ের বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শহরের অন্য একটি প্রান্তে বিক্ষুব্ধ মানুষরা এই বিলের বিরুদ্ধে টর্চ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে নামেন।
জানা গিয়েছে, শিলং থেকে ২৫০ কিমি দূরে উইলিয়ামনগরে বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়েন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন, গো ব্যাক।
অসমের পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ। সেখানে পুলিশের গুলিতে তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুও হয়েছে। যদিও শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডিব্রুগড়ে কার্ফু শিথিল করার ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তবে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
অপ্রত্যাশিতভাবে মেঘালয়ে আন্দোলন শুরু হতেই চাপে পড়ে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কারণ এখনও অসম এবং ত্রিপুরাকে শান্ত করা যায়নি। সেখানে নামাতে হয়েছে সেনাবাহিনী। তার মধ্যে তিন জনের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন সময়ে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মেঘালয়। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে।