মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের পরই দেখা গিয়েছিল দেশ থেকে ফিকে হয়ে যাচ্ছে গেরুয়া রং। বাংলার তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও একই ট্রেন্ড দেখা যাচ্চিল সকাল থেকেই। নিউজ এক্সপ্রেসের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল তিন কেন্দ্রেই জিততে চলেছে ঘাসফুল শিবির। এবার সেই সমীক্ষা হুবহু মিলে গেল। তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে হ্যাট্রিক করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেখানে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষের বাহিনী।
কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদরে প্রথমবার জিতল ঘাসফুল শিবির। করিমপুরেও জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। উপনির্বাচনে ৩–০ ফলাফলকে একদিকে মানুষের আশীর্বাদ ও বিজেপি’র ঔদ্ধত্যের ফল বলে ব্যাখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের পর উপনির্বাচন ছিল আদতে ২০২১ সালের মহড়া। আর তিনে তিন করে স্বাভাবিকভাবেই লিটমাস টেস্টে সফল তৃণমূল কংগ্রেস। আর জয়ের কৃতিত্ব মা–মাটি–মানুষকে দিলেন দলনেত্রী।
যখন দেশভাগ, জাতিভাগ, সংস্কৃতির উপরে অত্যাচার চলছে, তখন এটা জনতার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কেউ উপলব্ধি না করতে পারলে বুঝতে পারবে না বলে মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিন আসনেই ভোটারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে আমি নিজে যাব। মানুষের আশীর্বাদেই তিন কেন্দ্রে সবুজ ঝড়। এই ফলাফলের মাধ্যমেই মানুষ বলেছে ১–২–৩ বিজেপিকে বিদায় দিন। এবারের নির্বাচনে সব ধর্মের মানুষই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। তাঁদের কাছে বিজেপি মানেই ঔদ্ধত্য। গোটা দেশে সর্বনাশী খেলা খেলছে বিজেপি। নাগরিক বিল, এনআরসি নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিভেদের খেলা চালাচ্ছিল। তবে ওদের ঔদ্ধত্য, অহংকার বাংলায় চলবে না। বাংলার মানুষ বুদ্ধিমান। তারাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
