হায়দরাবাদের পর ফের নৃশংস ঘটনা যোগীর রাজ্য লখনৌ শহরে। জেল থেকে বেরিয়েই উন্নাও নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করল অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উন্নাও জেলার বিহার পুলিশ স্টেশনের অধীনে থাকা গ্রামে বসবাসকারী এই নির্যাতিতার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় ৭০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে পড়েছেন নির্যাতিতা। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০১৮ সালে গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। এরপর দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েই প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের ওই যুবতী জানিয়েছেন এক বছর আগে তাঁকে যে দু’জন ধর্ষণ করেছিল, তারাই তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভোর চারটের সময়ে মা–বাবার সঙ্গে রায়বরেলি যাচ্ছিলেন ওই যুবতী ধর্ষণ মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে। প্রমাণ লোপাট করতেই এই কাজ করা হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এই ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিজেপি’র সাংসদরা বড় বড় ভাষণ না দিয়ে দেশের মহিলাদের কথা ভাবুন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সব এনআরসি নিয়ে ব্যস্ত।’ ডিজিপি ওপি সিং জানান, এই ঘটনা খুবই দুর্ভগ্যজনক। তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন হল, হরি শংকর ত্রিবেদী এবং শুভম ত্রিবেদী। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পলাতক। নির্যাতিতার যাতে সঠিক চিকিত্সা হয় তা সুনিশ্চিত করতে ট্রমা সেন্টারে পৌঁছে গিয়েছেন লখনউ জোনের এডিজি।