বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার প্রশ্নফাঁস রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তাই মাধ্যমিকের পর এবার উচ্চমাধ্যমিক চলাকালীনও ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পথে সংসদ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার জন্য সংসদ রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়েছে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে বারকোড থাকবে বলে জানালেন সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনে স্কুলের গাফিলতি প্রমাণিত হলে অনুমোদন বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২৫০ স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ডিটেক্টর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরীক্ষা হলে একটিও মোবাইল নেই নিশ্চিত হলে, তারপরই প্রশ্নপত্র বণ্টন করা হবে বলে জানিয়েছে সংসদ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম ভাষার পরীক্ষা। তার আগে বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করলেন উচ্চমাধ্যমিক সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস। গতবছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবছর আরও কড়া সংসদ জানান তিনি।
এবার প্রতি পরীক্ষা হলে একজন করে বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। তাঁর কাজই হবে, হলে কারও কাছে কোনও মোবাইল আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা। তিনি ঠিক আছে বলা না পর্যন্ত প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে না বলে সংসদ জানিয়েছে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে থাকবে বারকোড। এছাড়াও শিক্ষকদের উপর হামলা, পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলেও পরীক্ষার্থীকে আরএ করা হবে। মালদা, বীরভূম, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার জন্য সংসদ ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়েছে। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা পরিচালনা করতেই সংসদের এই সিদ্ধান্ত।
