জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য করার অভিযোগে ইরানকে কালো তালিকাভুক্ত করল এফএটিএ। জঙ্গি কার্যকলাপের মদতে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইরান। এই কারণেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল ইরান। তবে এই ঘটনার পর ইরান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাক্স ফোর্স নজর রেখেছিল বহুদিন ধরেই। একাধিকবার ইরানকে সতর্কও করা হয়েছিল। ইরান বারবার জঙ্গি মদতে আর্থিক সাহায্যের কথা অস্বীকার করলেও ফিনান্সিয়াল টাক্স ফোর্সের নজরে পড়ে যায় সত্যটা। অবশেষে ইরানকে কালো তালিকাভুক্ত করে এফএটিএ। প্যারিসে এক সপ্তাহ ধরে বৈঠকে চলছিল সংস্থার ৩৯ জন সদস্যের। তাতেই সর্বসম্মতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে আমেরিকারও। এমনকী সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কেরও অবনতি হয়। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ হয়েছিল যে মার্কিন বায়ুসেনার বিমান ইরানের সীমান্তে উঁকি দিতে শুরু করেছিল। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ইরানের সঙ্গে। সৌদি আরবে তৈল শোধনাগারে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই বাড়তি নজরদারি শুরু করে এফএটিএ। আমেরিকাও ইরানের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগ করে।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এফএটিএ’র এই সিদ্ধন্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এবার কোনঠাসা হয়ে পড়ল ইরান এবং পাকিস্তান। যদিও ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এফএটিএ’র এই সিদ্ধান্তে ইরানের বৈেদশিক বাণিজ্য নীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।
