স্বাস্থ্য

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায়

ইউরিক অ্যাসিড। রক্তে এটি বাড়ার কারণে দেখা দিতে পারে শরীরে নানা উপসর্গ। যার ফলে হতে পারে মারাত্মক সমস্যা। গাঁটে গাঁটে ব্যথা, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যার মতো নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে শরীরে।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কেন বাড়ে
১। বংশগত কারণে
২। অতিরিক্ত ওজন
৩। মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান
৪। পিউরিনযুক্ত খাবার (লাল মাংসের মেটে, ইস্টের তৈরি খাবার, পালং শাক, মাশরুম, ওটমিল, ফুলকপি, মুসুর ডাল, মটরশুঁটি ইত্যাদি)
৫। প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয় পান।
৬। এছাড়া লিভার যদি পর্যাপ্ত ইউরিক অ্যাসিড না তৈরি করতে পারে কিংবা কিডনি যদি ইউরিক অ্যাসিড না বের করতে পারে সেটাও এ জটিলতার অন্যতম কারণ।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
১। গাঁটে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে পায়ের বুড়ো আঙুল, হাঁটু, পায়ের পাতা, কবজি, হাতের গাঁটে অসহ্য ব্যথা হয়। সাধারণত এই ব্যথা ৫-১০ দিন একটানা চলে।
২। ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে।
৩। শরীরে অস্বাভাবিক ঘাম হয়।
৪। পেট এবং কোমরে খুব ব্যথা হয়।
৫। কখনো কখনো সারা শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয়।
৬। কিডনির সমস্যা হতে পারে।
৭। পিঠে ব্যথা করতে পারে।
৮। প্রস্রাব করার সময় সমস্যা হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষা
রক্ত এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করতে হয়।

যা খাবেন, যা খাবেন না
১। পিউরিনযুক্ত খাবার কম খান।
২। দুধের তৈরি খাবার খুব উপকারী।
৩। ডিম খেতে পারেন।
৪। প্রচুর জল এবং তরল খাবার খাবেন। ফলের রস, হারবাল চা খুব উপকারী।
৫। আপেল, কলা, আনারস, লেবু ইত্যাদি ফল খাবেন।
৬। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার এবং সয়াবিন খেতে পারেন।
৭। লাল মাংস এবং সামুদ্রিক মাছ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।
৮। ফুলকপি, মটরশুঁটি, মাশরুম, মসুর ডাল, অ্যাসপারাগাস, পালংশাকে ইউরিক অ্যাসিড থাকে। এসব খাবার বর্জন করুন।
৯। অ্যালকোহল বর্জন করুন।

পরামর্শ
১। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।
২। স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট মেনে চলুন।
৩। নিয়মিত হাঁটা প্রয়োজন।
৪। যে কোনো কায়িক পরিশ্রমের পর বেশি করে জল পান করবেন।
৫। ৩ মাস পর পর লিপিড প্রোফাইল চেক করুন। কারণ যাদের শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকে, তাদের হাই কোলেস্টেরলের প্রবণতা থাকে।
৬। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। চিকিৎসা চলাকালে কোনো অবস্থাতেই ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না।