মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে তা স্যুটকেসে ভরে ফেলল বাবা। তারপর সেই দেহ রেখে এল এক অটোতে। তিন টুকরো করা দেহটি। ভোরে এমন স্যুটকেস উদ্ধারের পর হন্যে হয়ে অপরাধীর খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তবে কোনও সূত্রই মিলছিল না। শেষমেশ ওই স্যুটকেসের ভেতরের দুর্গন্ধের সূত্র ধরেই অপরাধের রহস্যভেদ করল পুলিশ।
মুম্বইয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অরবিন্দ তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশের জেরায় অরবিন্দ জানিয়েছে, মাস ছয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে মুম্বইয়ে আসে তার মেয়ে প্রিন্সি। মুম্বইয়েই সে একটি কেম্পানিতে চাকরি করতে শুরু করে। সেখানেই এক মুসলিম যুবকের প্রেমে পড়ে যায় সে। ওই যুবককে বিয়ে করার জন্য জেদ ধরে বসে মেয়ে। মেনে নিয়ে পারেননি অরবিন্দ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে একটি অটোর ভেতর থেকে ওই স্যুটকেসটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার অটোচালকেরাই স্যুটকেসের ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক প্রকাশ লোন্ডে বলেন, স্যুটকেসের ভেতর এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করি আমরা। মাথা নেই। শুধুমাত্র কোমরের নীচের অংশটি রয়েছে। দেহটি তিন টুকরো করা।
মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, মুসলিম ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে নিয়ে মেয়ের সঙ্গে প্রায়ই মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতো অরবিন্দের। দিনের পর দিন ওই পরিস্থিতি চলতে থাকায় শেষপর্যন্ত মেয়েকে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অরবিন্দ। গত শুক্রবার ওই বিয়ে নিয়ে ফের বাবার সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় মেয়ের। এদিন মেয়ে অরবিন্দকে জানায় ওই মুসলিম ছেলেকেই সে বিয়ে করতে চলেছে। ওই কথা শুনেই মেয়েকে খুন করে ফেলেন অরবিন্দ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
কিভাবে রহস্যভেদ? খুনের পর একটি অটো ডেকে টিটিওয়ালা স্টেশনে যান অরবিন্দ। সেখান থেকে ট্রেন ধরে চলে যান কল্যাণ স্টেশনে। সেখান থেকে অটো ধরে চলে যান ভিভান্ডি। সেখানেই দেহাংশ ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ব্যাগ থেকে গন্ধ বের হতে দেখে ব্যাগে কী রয়েছে তা জিজ্ঞাসা করেন অটোচালক। ওই কথা শুনেই দৌড়ে পালিয়ে যান অরবিন্দ। তখন অটো চালক মহাত্মা ফুলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। আর ওই খুনের বিষয়টি সামনে আসে।