রাজ্য

বাঘরোল প্রজনন শুরু চিড়িয়াখানায়

বাঘরোল বা ফিশিং ক্যাট অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে। এই প্রজাতি এখন বিলুপ্তির পথে। তাদের সংখ্যা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। প্রক্রিয়ার নাম ‘কনজারভেশন ব্রিডিং’ প্রজেক্ট। বছর তিনেকের এই প্রকল্পে চিড়িয়াখানার ভিতরেই প্রজননের মাধ্যমে বাঘরোলের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। একেবারে জঙ্গলের নিয়মেই বেড়ে উঠবে এই চতুষ্পদী শাবকরা।

হাওড়ার গড়চুমুক ও হুগলির পারমাদান এলাকায় ফিশিং ক্যাট বা বাঘরোল দেখা যায়। তবে ইদানীং এরা বিলুপ্তপ্রায়। স্টেট জু অথরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‌ফিশিং ক্যাটের সংখ্যা ক্রমে কমে আসছে। তাদের সংখ্যা বাড়াতেই সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রজননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের টেকনিক্যাল কমিটিতে পাশ করানো হয়েছে। সদ্যোজাতদের জন্য জঙ্গলের পরিবেশ তৈরি করা হবে। যাতে তারা ওই পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে এবং শিকার করে খেতে পারে। গোটা প্রক্রিয়াটি করবে আলিপুর চিড়িয়াখানা।’‌

চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, এনক্লোজারের ভিতরেই তাদের শরীর-স্বাস্থ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। কিছুটা ধাতস্থ হলে এই বাঘরোলদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে গড়চুমুক এবং পারমাদানে। সেখানে মাস ছ’য়েক ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখা হবে ফিশিং ক্যাটগুলিকে। সবকিছু ঠিক থাকলে রাজ্যের এই দুই জায়গায় ফের ফিশিং ক্যাট দেখতে পাওয়া যাবে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় আগে এই প্রক্রিয়ায় স্নো লেপার্ড এবং রেড পাণ্ডার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে রাজ্যের কোনও প্রাণীর অস্তিত্বের সঙ্কট দূর করতে এমন উদ্যোগ নিয়ে কার্যত নজির গড়ল আলিপুর পশুশালা।