দেশ লিড নিউজ

স্থানীয় যুবকরা যোগ দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনে

মুখে ঘটা করে উপত্যকাকে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে। ২০১৯ সালে কেন্দ্র জানিয়েছিল, এবার নবগঠিত এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিকে উন্নয়নের চাদরে মুড়ে ফেলা হবে। স্থানীয় মানুষদের কোনও অভাব অনটন থাকবে না, যুব সম্প্রদায়ের জঙ্গি শিবিরের দিকে ঝোঁকার প্রবণতা কমবে–সহ বড় বড় ঘোষণা কেন্দ্রের। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র।
ঠিক কী দেখা গেল?‌ গত একবছর ধরে স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি শিবিরে যোগ দেওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি–কে এমনই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কয়েকজন আধিকারিক। কেন্দ্রের কাছে যে বাস্তব–চিত্র রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এই বছরের প্রথম সাত মাসে উপত্যকার ৯০ জন যুবক বিভিন্ন জঙ্গি শিবিরে নাম লিখিয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ জন গিয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনে। লস্করে ২০ জন, জৈশ–ই–মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনে ১৪ জন গিয়েছে। আর ছোট ছোট কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে বাকিরা। এমনকী একজন আইএসে নাম লিখিয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘‌আগে কোনও যুবক যদি নিখোঁজ হয়ে যেত বা কোনও জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিত, তখন তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাবাহিনীতে খবর দিতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্টও করা হত। কিন্তু এখন সেইরকম কিছু হচ্ছে না। বরং পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করছেন না।’‌ সুতরাং গোপন থেকে যাচ্ছে নিখোঁজ এবং জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার খবর। যা চিন্তায় ফেলেছে গোয়েন্দাদের। এই কয়েক মাসে কাশ্মীরে সংঘর্ষে যত জন জঙ্গি নিহত হয়েছে, তার ৯০ শতাংশই স্থানীয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এটা এখন প্রধান মাথাব্যাথার কারণ।
সূত্রের খবর, উপত্যকায় একটা ক্ষোভ রয়েছে। তাই যত জন স্থানীয় যুবক সংঘর্ষে হোক না কেন, আসল তথ্যটা কিছুতেই সামনে আসছে না। করোনাভাইরাস ঠেকাতে লকডাউনের কারণে যুবসম্প্রদায় মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। যুব সম্প্রদায় কেন্দ্রিক কর্মশালা বন্ধ রাখা হয়েছে করোনার জেরে। ফলে স্কুল, কলেজ বন্ধ। ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। তাতেই যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বেকারত্বও একটা বড় কারণ এখানে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে উন্নয়ন?‌ বিকাশ কোথায় গেল?‌