দেশ ব্রেকিং নিউজ

বাংলার ছেলে নিখোঁজ দেবভূমিতে

উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে কর্মরত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের চকদাড়িবেরিয়ার যুবক সুদীপ গুড়িয়া। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। প্রায় এক বছর পর আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে আসার কথা ছিল তাঁর। ঘরের ছেলে ফিরবে তাই খুশির হাওয়া ছিল পরিবারে। কিন্তু রবিবার জোশীমঠে নন্দাদেবীর হিমবাহ ভেঙে মারাত্মক ধস নামে উত্তরাখণ্ডে।
সে খবর সংবাদমাধ্যমে দেখার পর থেকেই বদলে গিয়েছে বাড়ির পরিবেশ। রবিবার থেকেই বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি। বহু চেষ্টা করেও সুদীপের সঙ্গে একবারও যোগাযোগ করতে পারছে না তাঁর দাদা প্রদীপ গুড়িয়া। প্রদীপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভাই গত দুই থেকে তিন বছর কাজের জন্য উত্তরাখণ্ডে রয়েছে। এক বছর বাড়ি ফেরেনি। ১২ তারিখ তাঁর ফেরার কথা ছিল। শনিবার রাতে শেষ কথা হয়েছিল ভাইয়ের সঙ্গে। রবিবার সকাল থেকে ওঁকে আর ফোনে পাচ্ছি না। কী করব কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।’
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খোঁজ নেয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। স্যাটেলাইট চিত্র বলছে, হিমবাহ ভেঙে জলের তোড়ে ধুয়েমুছে সাফ তপোবন। ক্ষতিগ্রস্ত জোশীমঠ সংলগ্ন অঞ্চল। পরিবার সূত্রে খবর, উত্তরাখণ্ডের ঋষি গঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারের তত্ত্বাবধানে কাজ করতেন এই যুবক। ওই গ্রামের আরও কয়েকজনও সেখানে কর্মরত ছিলেন। গোটা গ্রাম এখন কাটাচ্ছে চরম উৎকণ্ঠায়।
উল্লেখ্য, চামোলি জেলার তপোবন এলাকার রানি গ্রামে ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর হিমবাহ ভেঙে পড়ায় ভেসে গিয়েছে আশেপাশের বাড়ি–সহ গোটা এলাকা। তাঁদের পরিবারকে চার লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। আরও দু’লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।