করোনাভাইরাসের জেরে বন্ধ স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ক্লাসে মনোযোগ দিয়েছে শিশু থেকে সমস্ত বয়সের পড়ুয়ারা। আর এই অনলাইন মাধ্যমেই শিশুদের মনে বপন করা হচ্ছে নাশকতার বীজ। কম বয়সীদের মগজধোলাই করতে নেটমাধ্যমকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। এই পরিস্থিতিতে কাজে আরও সুবিধা করে দিয়েছে। তাই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিতে বাড়ছে কম বয়সী ও শিশুদের সংখ্যা। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রীংলা।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক বিতর্কে অংশ নেন হর্ষ শ্রীংলা। সেখানেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে শিশুদের অন্তর্ভুক্তি বেড়ে যাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিতে শিশু ও কম বয়সীদের অন্তর্ভুক্তি বেড়ে গিয়েছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
সম্প্রতি জম্মু–কাশ্মীরে ধরা পড়েছে এমন তরুণ জঙ্গিরা। যাদের মূলস্রোতে ফেরানো চেষ্টা করা হচ্ছে। করানো আবহে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে এই কাজে অনেকটা সুবিধা করে দিয়েছে বলেও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে জানান ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রীংলা। এই মর্মে তিনি জানান, করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ। অনলাইনে ক্লাস করছেন পড়ুয়ারা। তাই নেটমাধ্যমে পড়ুয়াদের কচি মনের নাগাল পাওয়া অত্যন্ত সুবিধাজনক।