প্রাণহানি এড়ানো গেল না চতুর্থ দফার ভোটেও। কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। ওই কিশোরের প্রথম ভোট ছিল এবার। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। আজ চতুর্থ দফার ভোটে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় শীতলকুচিতে। এদিন সকালে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল আনন্দ বর্মণ নামে ওই যুবক। মৃত ওই যুবকের এক দাদার বয়ান অনুযায়ী, শনিবার সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
ওই কিশোর এবং তাঁর পরিবারের লোকজন বিজেপি-র সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। ওই তরুণের এক দাদা জানিয়েছেন, ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর সময় আচমকাই তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দু’পক্ষই। পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ নম্বর বুথের সামনে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সেই সময় আচমকাই তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দু’পক্ষই। অভিযোগ তখনই তৃণমূলের গুলিতে আহত হন ওই কিশোর।
আচমকা এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সকলে। প্রাণ বাঁচাতে লাইন ভেঙে ছুটতে শুরু করেন। সেই সময় পিছনে থাকা আনন্দের পিঠে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিমেষের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সামাল দিতে এলাকায় ব়্যাফ নামানো হয়েছে। ঘটনার পর বেআইনি জমায়েত সরাতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ৷ ওই কিশোর এবং তাঁর পরিবারের লোকজন বিজেপি-র সমর্থক বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এদিন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনন্দকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, গুলি লাগার পর সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছে আনন্দের পরিবার। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে।