তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক, দু’দিক থেকেই রাজ্যের শাসক শিবিরকে খাদের কিনারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক শিবির। ভোটের আগে দল ভাঙানো হোক, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের হুমকি দেওয়া হোক কিংবা রাজ্যের আইপিএসদের ডেপুটেশনে ডাকা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার সবরকম কৌশলই অবলম্বন করছে গেরুয়া শিবির বলে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অসময়ের বন্ধু’ পাশে দাঁড়ালেন।
আইপিএস ইস্যুতে মমতাকে আগেই সমর্থন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাতের দিকে সার্বিকভাবে মমতার পাশে থাকার বার্তা দিলেন বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী তথা মোদী–শাহদের বিরোধী প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। তিনি বলেন, ‘বাংলা দখলের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু করেছে বিজেপি। আর এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যে শুধু ভোটের আগে হবে তাই নয়, ভোটের পরেও হতে পারে। নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচনের পরে আরও এক দফার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাই তৃণমূলকে ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে জিতে আসতে হবে।’
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে এই রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতা দল ছেড়েছেন। অমিত শাহের হাত ধরে তাদের অনেকেই শামিল হবেন বিজেপিতে। যশবন্তর আশঙ্কা, ভোটের আগে দল ভাঙিয়ে যদি মমতাকে হারানো না যায়, তাহলে ভোটের পরেও একই খেলা খেলবে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি অতীতে গোয়া, মণিপুর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ভোটের পর দল ভাঙানোর এই খেলা দেখাও গিয়েছে।
