ফের কুস্তি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সরব দেশের কৃতি কুস্তিবিদরা। সদ্য সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্রিজভূষণ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং। তারপরেই ফের একবার প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন ভারতীয় কুস্তিবিদরা। সাংবাদিক সম্মেলন করে চোখের জলে কুস্তি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাক্ষী মালিক। এবার নিজের পদ্মশ্রী ফেরালেন আর এক বিদ্রোহী কুস্তিবিদ বজরং পুনিয়া।
সমাজ মাধ্যমে পুনিয়া জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তিনি সেই পদক ফিরিয়ে দেবেন। সেই উদ্দ্যেশ্যে তিনি রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দ্যেশ্যে। যদিও মাঝ পথে তাকে আটকায় পুলিশ। ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সংসদের সামনের রাস্তা কর্তব্য পথে ফুটপাতের উপর নিজের পদক ও স্মারকপত্র রেখে দেন বজরং। সেই পদক ও স্মারকপত্র তুলে নেয় দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পদ্ম সম্মান দেওয়া হয়। এই সম্মান তুলে দেন স্বয়ং দেশের প্রথম নাগরিক। মেডেলের সঙ্গে একটি স্মারকপত্রও দেওয়া হয়। এই সম্মানের কিছু নিয়ম রয়েছে। কেউ এই সম্মান প্রত্যাখ্যান করতে চাইলে, গ্রহন করার আগেই তা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। কিন্তু সম্মান গ্রহন করার পর তা ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। সেই পদক হারিয়ে গেলে বা কোথাও ফেলে দিলেও তাঁর নাম রয়ে যায় পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকায়। একমাত্র রাষ্ট্রপতি চাইলে সেই সম্মান ফিরিয়ে নিতে পারেন। তবে বজরংয়ের পদ্ম সম্মান ফিরিয়ে নেওয়া হবে কিনা সেবিষয়ে রাইসিনা হিলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ফলে রাস্তায় রেখে দিয়ে এলেও এখনই ফিরিয়ে নেওয়া নেওয়া হচ্ছে না বজরংয়ের পদ্ম সম্মান।