করোনা থেকে পুরোপুরি নিস্তার পেতে এখনও অনেক দেরি। বিশ্বে করোনার প্রকোপ এত তাড়াতাড়ি ফুরবে না। এই রোগ শিশুদের জন্য বিশেষ উদ্বেগের বলেও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোজ অ্যাডানম ঘিব্রিইয়েসাস জানান, এখনই লকডাউন ছেড়ে বেরোনো কোনও দেশের পক্ষেই উচিত নয়। বিপদ এখনও কাটেনি।
আফ্রিকা, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হু। হু–এর ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস অ্যাডানম ঘিব্রিইয়েসাস বলেন, ‘আমেরিকার আগেও আমাদের অনেকটা পথ যেতে হবে এবং অনেক কিছু করতে হবে।’ সবচেয়ে বেশি চিন্তা শিশুদের নিয়ে। যেভাবে সমস্ত দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ধাক্কা খাচ্ছে, তাতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে আন্তঃরাষ্ট্র বাণিজ্য। ওষুধ আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে। অন্তত ২১টি দেশে ওষুধের অভাবের কথা সামনে এসেছে। ওই দেশগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না জীবনদায়ী ওষুধ, প্রতিষেধকও।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বা মৃত্যুর পরিসংখ্যান বলছে, শিশুদের ঝুঁকি কিছুটা কম। কিন্তু টীকার মাধ্যমে অন্য যে রোগগুলি আটকে রাখা হয়, তার ঝুঁকি শিশুদের মধ্যে অনেক বেড়ে যাচ্ছে। করোনার ভয়াবহতা থেকে এত তাড়াতাড়ি নিস্তার মিলবে না। গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা এখনও রয়েছে। আফ্রিকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের সাহায্যের জন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।
