পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের। ৪৮ ঘণ্টা পরেও কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না? কেন সময় নষ্ট করা হল? সমস্তটাই হলফনামার মাধ্যমে জানতে হবে আদালতকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ হাজার ৫৮০ জন কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন, তাও জানাতে হবে কমিশনকে। আগামী ২৭ জুন হলফনামা তলব করা হয়েছে। ২৮ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার আদালতে জানান, “কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশের পরেও কমিশন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেনি। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি করা হয়। অকারণে সময় নষ্ট করা হয়েছে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও কমিশন তা পালন করছে না। ২০ হাজার ৫৮০ জনের মনোনয়ন বাতিল করেছে। এই অবস্থায় একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে নির্বাচন পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন করার আবেদন জানানো হচ্ছে।
এদিকে, কমিশনের আইনজীবীর সওয়াল, ‘আদালতের নির্দেশ মেনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। ৩১৫ কোম্পানি দেওয়া হয়েছে। আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষ আইএএস আধিকারিকদের পর্যবেক্ষক রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ৮২২ কোম্পানি পেলেই মোতায়েন করা হবে বাহিনী।’