রাজ্য

পুরভোটের সিদ্ধান্ত দীপাবলির পর

কলকাতা–সহ পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পুরসভার ভোট কবে করানো হবে, সে বিষয়ে পুজোর পরই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে তলব করে মতামত জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যথেষ্ট বেড়েছে। তাই এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। দীপাবলির পরেই পরিস্থিতি যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অথচ রাজ্য সরকার বারবার বলছে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাহলে সর্বোচ্চ আদালতে এই তথ্য পেশ কেন?‌ উঠছে প্রশ্ন।
কলকাতা–সহ রাজ্যের শতাধিক পুরসভার ভোট স্থগিত রয়েছে করোনার জেরে। পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন প্রশাসক বোর্ড। এই নিয়ে সর্বেচ্চ আদালতে মামলাও হয়েছে। দ্রুত ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি তুলেছে বিজেপিও। গত মে মাসে কলকাতা পুরসভার পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের দিনই রাজ্য সরকার ফিরহাদ হাকিমকে চেয়ারম্যান করে গোটা পুরবোর্ডকেই প্রশাসকমণ্ডলী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তার পরেই সেই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে, কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীকে ‘কেয়ারটেকার বোর্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করে, কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন হাইকোর্টেক বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কাউলের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, বিহারে বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা হলেও সেখানকার পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের থেকে আলাদা। কলকাতা পুরসভার আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে বাকিদের কোনও বক্তব্য থাকলে তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ৮ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে।’
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যত দূর শুনেছি, সুপ্রিম কোর্টে ডিসেম্বরে ফের শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টও চায় এই পরিস্থিতিতে ভোট না করাতে।’‌