ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

দু’পক্ষের গন্ডগোলে কেন শুধু বিজেপি বিধায়করা সাসপেন্ডেড? প্রশ্ন তুলল বিজেপি

কেন সাসপেন্ডেড শুধু বিজেপি বিধায়করা, উঠছে প্রশ্ন। বিধানসভায় তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কের হাতাহাতিতে কেবল বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার জন্য স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। বিধানসভা কক্ষেই রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী উভয় দলের বিধায়করা। হাতাহাতির জেরে সাসপেন্ডেড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ক- নরহরি মাহাতো, মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মন ও শঙ্কর ঘোষ।

আজ রামপুরহাট ইস্যুতে তুলকালাম হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা। রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। ঠিক সে সময় শাসক বিরোধী উভয় দলের বিধায়করা পরস্পরের বিরুদ্ধে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে বিধানসভায় সাসপেন্ড প্রস্তাব পেশ করেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে।

কিন্তু এরপরই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের বিধায়করা। শাস্তি হলে দুই পক্ষের বিধায়কদের শাস্তি হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে সাসপেন্ড করতে হলে দুই পক্ষের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা উচিত কিন্তু তা না করে স্পিকার কেন শুধুমাত্র বেছে বেছেই বিজেপি বিধায়কদেরকেই সাসপেন্ড করলেন? এই প্রশ্নে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

ঘটনার প্রতিবাদে টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।ঘটনায় সরব হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা বি এল সন্তোষও।