If you cough frequently after the mask, the effectiveness of the mask decreases. Because if you cough, the droplet comes out through the mask. It can even cover a distance of three feet. No matter how good a mask you use, coughing greatly reduces its effectiveness and spreads its droplets.
স্বাস্থ্য

মাস্কের কার্যকারীতা কেন কমে যায়?

করোনাভাইরাস মহামারিতে নিরাপদ থাকার নির্দেশিকায় মাস্ক ব্যবহার ও হাত ধোয়ার কথা সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে। বাইরে গেলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ও সংক্রমণের ঝুঁকি রোধ করার অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার করা। তবে তীব্র গরমে সারাক্ষণ বাইরে মাস্ক পরে থাকাও বেশ কষ্টের। অনেকসময় ঘামে মাস্ক ভিজে যায় এবং পরতে অস্বস্তি হয়। তারপরও যদি আপনি এটি সঠিকভাবে না পরেন তাহলে সুরক্ষার বদলে ব্যবহৃত মাস্ক হয়ে উঠতে পারে অনিরাপদ।

আপনি যদি মাস্ক পরে ঘন ঘন কাশি দেন তাহলে মাস্কের কার্যকারীতা কমে যায়। কারণ কাশি দিলে মাস্ক ভেদ করে ড্রপলেট বাইরে বেরিয়ে যায়। এমনকি তা তিন ফুট দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। আপনি যতই ভালো মাস্ক ব্যবহার করেন না কেন কাশি দিলে তার কার্যকারীতা অনেকটাই কমে যায় এবং এর ড্রপলেট বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

সাইপ্রাসের নিকোসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে ভালো মাস্ক পরে থাকলেও কাশি দিলে ড্রপলেট নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এটি মূলত বায়ুচাপের কারণে হয়ে থাকে। কাশি দিলে অনেকটা বৃদ্ধি পায় এই চাপ। যদিও এই বিষয়টা নিয়ে আরও বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

তবে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাস্ক পরা জরুরি। আর মাস্ক পরা অবস্থায় কাশি দিলে একটু দূরত্ব বজায় রেখে তা দেয়া উচিত। যাতে করে কাশির ড্রপলেটগুলো অন্যকে সংক্রমিত না করতে পারে। এছাড়া কেউ কাশি দিলে তার মুখে মাস্ক থাকুক বা না থাকুক পাশে থাকা লোকদের দূরে সরে যাওয়া উচিত। বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক। যদিও এন৯৫ মাস্কে রয়েছে সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা। কাপড়ের তৈরি মাস্ক বা সার্জাকাল মাস্কও ভালো কাজ করে। আপনি কোন মাস্কে আরামবোধ করেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে মাস্কই পরেন না কেন তার যত্ন নেয়া এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।