ফের সংবাদ শিরোনামে পেগাসাস ইস্যু। ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় এত আলোচনা কেন?’ এই প্রশ্ন তুলে পেগাসাস ইস্যুতে মামলাকারীদেরই কার্যত ভর্ত্সনা করল সুপ্রম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বার্তা দিলেন, ‘আমরা সবাই কিছু বলতে চাই। আশা করি, বিতর্কটা আদালতে হবে। বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রাখুন। যদি কারও কিছু বলার থাকে, তাহলে আদালতে বলুন।’ এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। আর তারপরই ঠিক হলো, মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।
ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। রাজ্যসভার অধিবেশনে পেগাসাস প্রসঙ্গ তোলেন সিপিএম সাংসদ ভি শিবদাসন। জানতে চান, কেন্দ্রের সঙ্গে এই স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক সংস্থার কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা? জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট স্পষ্ট জানান, ইজরায়েলের ওই সংস্থাটির সঙ্গে কোনওরকম আর্থিক লেনদেন হয়নি কেন্দ্রের। তবে চুক্তির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এদিকে পেগাসাসকাণ্ডে তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের মামলা করেছেন দুই প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার, রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস আইনজীবী এম এল শর্মা এবং এডিটর্স গিল্ড। বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য সত্যি হলে তা অত্যন্ত গুরুতর।’ আর মামলাকারীদের তাঁদের পিটিশনের কপি কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়ারও নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
অন্যদিকে পেগাসাল মামলা শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ জানানোর জন্য় আদালতের কাছে শুক্রবার পর্যন্ত সময় চান সলিসিটর জেনারেল। স্রেফ মামলাকারীদের ভর্ত্সনাই নয়, সোমবার পরবর্তী শুনানি হওয়ার সুপ্রিম কোর্টের তরফে নোটিস জারি করতে পারে বলে খবর।