১০ মাস পর মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বসংস্থাটি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে এমপক্স প্রাদুর্ভাব আর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ নয়। তাই এ বিষয়ক বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা তুলে দেয়া হলো।
গত বছর ২৪ জুলাই মাঙ্কিপক্স নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রোগের প্রাদুর্ভাবকে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগ বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপর থেকে এই রোগে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে যায়।
ডব্লিউএইচও বলেছে, ভাইরাসটি এখনও চারপাশে রয়েছে। এর প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকতে পারে। তবে সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা শেষ হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ দেশগুলোকে ‘সতর্ক থাকার’ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাবের সময় ১১১টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ে। ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়। মারা যান ১৪০ জন। কিন্তু গত তিন মাসে রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ কমে এসেছে। যার অর্থ সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতার আর প্রয়োজন নেই।
এর আগে গত সপ্তাহে করোনাভাইরাস মহামারি আর ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা করেছিল ডব্লিউএইচও। আর এরপরই মাঙ্কিপক্স সংক্রান্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার অবসান ঘোষণা করল ডব্লিউএইচও।