বিশ্বে করোনা থাবা বসানোর পর থেকেই খুব একটা আশার খবর শোনাতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এবার সেই উত্কন্ঠা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিলেন হু–এর ডিরেক্টর জেনারেল তেদরোস আদহানোম ঘেবরেয়েসাস। তাঁর মতে, কিছু দেশের রাষ্ট্রনেতা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ। এভাবেই চলতে থাকলে, অদূর ভবিষ্যতে করোনা থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
ভারতেও করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে। প্রত্যেকদিনই ২৬–২৭ হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে হু–এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, ছ’মাস ধরে বিশ্ব করোনার সঙ্গে লড়াই করছে। কিন্তু ছ’মাস পরেও কয়েকটি দেশে করোনা যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকেই এগোচ্ছে গোটা বিশ্ব। তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দেশ ভুল পথেই এগোচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে যদি ন্যূনতম বিধিনিষেধ না মানা হয় তাহলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাবে।’
এইসবের পাশাপাশি হু–এর ডিরেক্টর জেনারেল জানান, যদি প্রাথমিক নিয়মগুলিই অক্ষরে অক্ষরে মেনে না চলা হয়, তাহলে এই প্যানডেমিক চলতেই থাকবে। দিনে দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পরিবর্তে আরও অবনতি হবে। এখনও বিশ্বের সব প্রান্তেই এই ভাইরাস মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। কিন্তু আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি বহু দেশের সরকার এবং সেখানকার নাগরিক এই বিষয়ে যথেষ্ঠ সচেতন হচ্ছেন না। স্বাস্থ্য সম্পর্কে তাঁদের আরও বেশি সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা, বার বার হাত ধোয়া এবং সর্বোপরি বাড়ির বাইরে না বেরোনো এই মুহূর্তে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা অবিলম্বে বোঝাতে হবে সাধারণ মানুষকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বিশ্বের সব দেশের কাছে এই মুহূর্তে স্কুল, কলেজ না খোলার অনুরোধ জানান। তিনি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল, কলেজ খোলা যাবে। আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে লকডাউন চালু করার প্রয়োজন। আমি একবারও বলছি না এই কাজ খুবই সহজ। বরং সত্যি বলতে কি এই কাজ একেবারেই সহজ নয়। আমি জানি বহু রাষ্ট্রনেতা অনেক সংকটের মধ্যে কাজ করছেন। বুঝতে পারছি অনেক দেশেই স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেসব অতিক্রম করে আবার প্যানডেমিকের সংকট সামলাতে হচ্ছে।