নতুন বদলে পুরনো মদ। বোতল নতুন না হোক, তাতে কী! পুরনো মদ তো মহার্ঘ হবেই। সেই মদের কদর কতটা হতে পারে, তার প্রমাণ মিলল মার্কিন মুলুকে। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন হুইস্কির বোতল বিক্রি হল এক কোটিরও বেশি টাকায়। ওই বোতলের সুরা আনুমানিক ২৫০ বছরের পুরনো। নিলামকারী সংস্থার ধারণা ছিল, ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার ডলারের মধ্যে বিক্রি হতে পারে ওই দুর্লভ মদের বোতলটি। যদিও তাদের খানিকটা অবাক করেই নিলামে বোতলটির দাম ওঠে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১ কোটি ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৯ টাকা।
ওল্ড ইংলেন্ডডিউ হুইস্কির ওই বোতলটি সিল করা হয় ১৮৬৫ সাল নাগাদ। যদিও তার ভিতরে যে তরল রয়েছে, সেটি আরও ১০০ বছর আগে তৈরি বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বোতলটির গায়ে একটি লেবেল সাঁটা রয়েছে। তাতে লেখা, সম্ভবত ১৮৬৫ সালে বোতলটি সিল করা হয়। এটি জে পি মরগ্যান নামে এক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে পাওয়া যায়। তিনিও আর একজনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন এই পানীয়।
অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আমেরিকার পেনসিলভানিয়াতে প্রথম হুইস্কি তৈরি শুরু হয়। ১৭১৬-১৭ সাল নাগাদ বস্ত্রশিল্পে মন্দার কারণে আইরিশ আর স্কটরা দলে দলে আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করতে থাকে। স্কট অনুপ্রবেশকারীরা হুইস্কি বানানোর কাজে মন দিতেই পশম আর বন্দুকের সঙ্গে এটি হয়ে ওঠে বিনিময় মাধ্যম।
উনবিংশ শতকের গোড়ায় জে পি মরগ্যান জর্জিয়া থেকে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই হুইস্কি কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
একই ধরনের তিনটি বোতল ছিল। দু’টি বোতল তিনি দিয়ে দেন দুই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ও ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টকে। তাঁরা মরগ্যানের সম্পর্কিত আত্মীয় ছিলেন। মরগ্যানের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলের হাতে আসে অবশিষ্ট একটি বোতল। তিনি আবার সেটি ১৯৪২-৪৪ সালের মধ্যে দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর জেমস বারনেসকে দেন। ১৯৫৫ সালে তাঁর মেয়াদ শেষের আগে বারনেস সিল না খোলা ওই হুইস্কির বোতলটি উপহার দেন তাঁর বন্ধু নৌবাহিনীর আধিকারিক ফ্রান্সিস ড্রেককে। তাঁর তিন প্রজন্মের কাছেই সংরক্ষিত ছিল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ওই হুইস্কি।