দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে সেটি। রবিবার তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কথা।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, ধীরে ধীরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বঙ্গোপসাগরের বুক থেকে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে শক্তি সঞ্চয় করে দানবীয় রূপ নিচ্ছে অশনি। আপাতত ঘূর্ণাবর্তটির অভিমুখ রয়েছে ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলের দিকেই৷ বাংলায় ল্যান্ডফল হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব আছড়ে পড়তে চলেছে এ রাজ্যেও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে আগামী চার পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আজ থেকেই পরিবর্তন হচ্ছে রাজ্যের আবহাওয়া। পশ্চিমের জেলাগুলিতে আজ থেকেই শুরু হবে ঝড় বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গে ১০ থেকে ১৩ মে এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বুধবার থেকে শুক্রবার অবধি উপকূলীয় জেলাগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি রয়েছে। ১০ মে থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মৎসজীবিদের। যাঁরা এখনও সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহর কলকাতাতেও। রবিবার মেঘাচ্ছন্ন থাকবে কলকাতার আকাশ। আজ সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।