স্বাস্থ্য

ব্যায়াম কখন করবেন, কখন করবেন না

সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরি, ঠিক তেমনি জরুরি শরীরচর্চাও। এই চলতি মহামারির মধ্যে নিজেকে সুস্থ রাখতে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া জরুরি। যা শরীরচর্চার মাধ্যমে সম্ভব। শরীরচর্চা আপনাকে ফিট থাকতে সহায়তা করে। এক কথায় বলতে হলে, সুস্থভাবে বাঁচার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত।
আমাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যায়াম কখন করতে হবে আর কখন করা যাবে না, অনেকেই তা জানেন না।

কোন সময়ে ব্যায়াম করা ভালো, আর কখন ব্যায়াম করা ঠিক নয় চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

১। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম সারা দিন ফুরফুরে রাখতে পারে।

২। এছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীরের ঘাম ঝরে, তাই নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা ভালো।

৩। দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্ত মনে হতে পারে। তাই এ সময়ে ব্যায়াম না করাই ভালো।

৪। অনেকে ব্যস্ততার জন্য সারাদিন সময় করে উঠতে পারেন না, তারা রাতে ব্যায়াম করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।

৫। যারা সারাদিন বাড়িতে থাকেন, তারা চাইলে যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন।

৬। ব্যায়ামের সময় অনেক বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। হালকা খাবার যেমন- একটা কলা বা বিস্কুট খেয়ে ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে।

৭। সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে অনেকে ব্যায়াম শেষে ভরপেট খেয়ে বাসায় ফেরেন। এতে ব্যায়ামের কোনো উপকারিতা থাকে না।

৮। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা বেশিদিনের অবসর কাটালে বা কোথাও ঘুরতে গেলে খাবারের দিকে নজর রাখা উচিত। ঘুরতে গিয়ে বেশিদিন থাকার পরিকল্পনা করলে সুযোগ থাকলে টুকটাক ব্যায়াম করা যেতে পারে।

৯। ব্যায়াম করার আগে বা পরপরই বেশি পরিমাণে জল খাওয়া ঠিক নয়। ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর জল খেতে পারেন।

১০। খাবারের মেন্যু থেকে যতটা সম্ভব মিষ্টি, কোমলপানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাদ রাখাই ভালো। কারণ এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম করা বৃথা হয়ে পড়বে।

১১। নিজে অসুস্থ থাকলে ব্যায়াম করার দরকার নেই। বিশেষ করে গর্ভকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়।

১২। যে কোনো ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট পরিকল্পনার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেয়া উচিত।