স্বাস্থ্য

প্রতিবেশী যখন করোনা আক্রান্ত!

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। তাই আশপাশেই ‘কোভিড-১৯’য়ে আক্রান্ত থাকার আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যা পক্ষান্তরে আপনার নিজের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানায় অনেকটাই অবহেলা এসেছে মানুষের মাঝে। বাড়ির পাশেই কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার করণীয় কী হবে?

দূরে গেলে কিংবা লম্বা সময়ে জন্য গেলে হয়তো মাস্ক পরছেন। তবে কয়েক মিনিটের জন্য ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক না পরা মানুষের সংখ্যা অনেক। আবার বাইরে হাঁটতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই নিজ ভবনের ছাদে হাঁটেন। এখন আপনার ভবনেই যদি করোনা-রোগী থাকে তবে বাড়ির ছাদে যেতে হলেও মাস্ক পরতে হবে। নিজের ফ্ল্যাট থেকে এক পা বের হলেও পরতে হবে মাস্ক।

প্রতিটি লিফটই একটি বদ্ধ স্থান যা ব্যবহার করেন ভবনের সবাই। ফলে আপনার ভবনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিও তা ব্যবহার করছেন বা কিছুদিন আগেই করেছেন। তাই নিজের নিরাপত্তার জন্য ভবনে করোনা-রোগী থাকলে লিফট ব্যবহার না করাই ভালো।

দরজা ও তার হাতল, ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ইত্যাদি নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। বাইরের জুতো ভেতরে আনা যাবে না। হাতে গ্লাভস পরতে হবে।

ঘরের বাইরের যে কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ, লিফটের সুইচ, সিঁড়ির হাতল ইত্যাদি যথা সম্ভব হাত দিয়ে স্পর্শ না করার চেষ্টা করতে হবে। সঙ্গে সবসময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং যে কোনো কিছু স্পর্শ করার পরপরই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

নাকে মুখে চোখে হাত দেয়ার ব্যাপারে আগে যতটুকু সচেতন ছিলেন এখন তার কয়েকগুণ বেশি সতর্ক হতে হবে। নিজের এবং পরিবারের সবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার অভ্যাসও বাড়াতে হবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘরের আশপাশে থাকলে সবকিছুতেই বাড়তি সতর্কতা আবশ্যক। গরম জল পান করার মাত্রা বাড়াতে হবে। দিনে কমপক্ষে একবার গরম জল দিয়ে ‘গার্গল’ করতে পারেন। দিনে দুবার গরম জলের ভাপ নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, ভিটামিন সি খাওয়া বাড়াতে হবে।