চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট। থেমে গেল দীর্ঘদিনের লড়াই। মৃত্যুকালে ব্রাজিলীয় তারকার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মারা যান পেলে। ব্রাজিলীয় কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান ফুটবল দুনিয়া। শয়ে শয়ে মানুষ তাঁকে শেষবারের মতো এক বার দেখা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে পেলের দেহ সোমবার সকালে নিয়ে আসা হবে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। মাঠের একেবারে মাঝখানে রাখা হবে ‘ফুটবল সম্রাট’কে। এভাবেই ২৪ ঘণ্টা রেখে দেওয়া হবে পেলের মরদেহ।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব স্যান্টোস থেকে ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন পেলে। এই ক্লাবের নামের সঙ্গে সমার্থক হয়ে গিয়েছে তাঁর নাম। স্যান্টোসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসাবে ইতিহাসে খোদাই হয়ে রয়েছে পেলের নাম। দীর্ঘ ১৯ বছর পরে এই ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে কসমসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই ক্লাবের হয়েই কলকাতায় এসেছিলেন পেলে। ইডেন উদ্যানে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন।
১৬ বছর বয়সেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় পেলের। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গোল ছিল তাঁর। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু হয় পেলে-গ্যারিঞ্চা অমর জুটির। জীবনের প্রথম বিশ্বকাপই রাঙিয়ে দিয়েছিলেন পেলে। ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। সোনা ফলানোর সেই শুরু। বর্ণময় ফুটবলার কেরিয়ারে তিন-তিনবার বিশ্বকাপ জিতেছেন। ১৯৭৭ সালে কসমসের হয়ে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে কলকাতায় পা রেখেছিলেন ফুটবল-সম্রাট। সেই ম্যাচে গোল করতে না পারলেও কলকাতার মন জিতে নিয়েছিলেন ‘ব্ল্যাক পার্ল’।
যদিও অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বিশ্বকাপ শেষের পরেই এল সেই হৃদয়বিদারক খবর। তাঁর মেয়ে দিলেন সেই দুঃসংবাদ। সম্রাট আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন না।