লাইফস্টাইল

বাড়িতে থেকে যখন অফিসের কাজ করবেন…

করোনা সংক্রমণের জেরে অধিকাংশ মানুষ এখনও ঘরে থেকে অফিস করছেন। কিন্তু এই বাড়ি থেকে অফিসের কাজ নিয়ে বেড়েই চলছে সমস্যা। অফিসকর্মীদের চোখেমুখেও সেই বিরক্তি বা ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। সমীক্ষা বলছে, অনেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন। আর এর প্রধান কারণ হিসেবে টাইম ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাড়িতে থেকে অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের সময় কাটানোর মধ্যে পার্থক্য করতে না পারা। সারা দিন ভিডিও কলে মিটিং, কনফারেন্স, অনেক মেইলের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। ফলে কাজের সময়ও বাড়ছে। সব মিলিয়ে একটা ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন তারা। কিন্তু কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের এই ভারসাম্যকে রক্ষা করতেই হবে। কীভাবে তা সম্ভব?

১। বসের সঙ্গে কথা বলুন। যদি বাড়িতে কাজের পরিস্থিতি না থাকে, বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে বা অন্য কোনও কারণে পরিবারের পরিস্থিতি যদি আলাদা হয়, তা হলে সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে বসকে জানান।
২। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। পরিবারে ছেলেমেয়ে রয়েছে, তাদের যত্ন নেওয়াটাও খুব জরুরি। তাই আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। যদি দু’জনে অফিসে কাজ করেন, তা হলে রোটেশন ডিউটি নিন। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই পরিবারের বাকিদের ও বাচ্চাদের সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। বুদ্ধি করে সব দিক বজায় রাখুন, অফিসের পাশাপাশি পরিবারের প্রতিও নজর দিন। তা না হলে কিন্তু অবসাদ ও ঝামলা বাড়ে।
৩। ধৈর্য ধরে, মাথা ঠাণ্ডা রেখে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ব্যবহার করুন। আপনার মতো বাড়ির বাচ্চারাও বাইরে বেরোতে পারছে না। তাই তাদের অল্প-বিস্তর দুষ্টুমি সহ্য করতে হবে। অযথা মাথা গরম করা চলবে না। ধৈর্য রেখে তাদের সঙ্গে মিশতে হবে। না হলে আপনার কাজেরই ক্ষতি হবে।
৪। অফিসের কাজ শেষ হলে বাড়িতেই পুরো সময় দিন। একবার অফিসের কাজ শেষ হয়ে গেলে ল্যাপটপটি দূরে সরিয়ে রাখুন। ফোন, কলিগ, অফিসের ওয়েবিনার থেকে দূরে গিয়ে এ বার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এতে মন ও মানসিকতা ভালো থাকবে। পরের দিন কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবেন। আর অবসাদ কমলে শরীরও ভালো থাকবে।
৫। শরীরচর্চার জন্য সময় বের করুন, পরিবারের জন্য সময় বের করার পাশাপাশি নিজের শরীরচর্চার কথাও ভুলবেন না। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত শরীরচর্চা, যোগ ও মেডিটেশন আপনার শরীর সুস্থ রাখবে, আপনার অবসাদও কমাবে।
৬। ছুটি থাকলে বা সময় পেলে নিজের পুরনো কোনও শখের দিকে নজর দিন বা বাকি থাকা কাজ শুরু করুন। অবসরে ছবি আঁকা, ফটো তোলার মতো নানা বিষয়ে আবার নজর দিন। এতদিন ব্যস্ততার ভিড়ে যে কাজগুলো করতে পারেননি, সেগুলো করে ফেলুন।
৭। অনেক ছোটখাটো রাগারাগি বা ঝগড়ার জেরে যদি বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য তৈরি হয়ে থাকে, এবার সময়-সুযোগ করে সেগুলো মিটিয়ে ফেলুন।