ব্রেকিং নিউজ স্বাস্থ্য

আমের সঙ্গে কী কী খাওয়া একেবারেই উচিত নয়? জেনে নিন

কাঁচা আম হোক বা পাকা আম, দুটোই এত সুস্বাদু যে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমের আবার অনেক প্রকার আছে। এক এক আম ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের। কখনো দুপুরে খাওয়ার পর শেষ পাতে আবার কখনো নুন ও লঙ্কা দিয়ে,আম যেন বাঙালির খুবই প্রিয়। কিন্তু, জানেন কি এই আম খাওয়ার পর কিছু জিনিস না মানলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ। তাই আমের সঙ্গে কিছু জিনিস এড়িয়ে চলাই ভালো। জেনে নেওয়া যাক আমের সঙ্গে কী কী খাওয়া একেবারেই উচিত নয়?

• দই ও আম:
অনেক জায়গায় আমরা দেখি দই ও আম একসাথে পরিবেশন করা হয়। আবার কোথাও কোথাও আজকাল বিক্রি হয় ম্যাঙ্গো লস্যি। এই লস্যি ও হয় দই থেকেই অর্থাৎ এখানেও আম ও দই একসাথেই দেওয়া হয়।কিন্তু , এই দই ও আম এক সঙ্গে খাওয়া কখনোই উচিত নয়। এই দুই এক সঙ্গে খেলে এটি মানুষের পেট গরম করে দেয়। তার জন্য গরমে পেটের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শরীরে টক্সিন নামক উপাদান বৃদ্ধি পায় যা খুবই ক্ষতিকারক।

• আম ও লঙ্কা:
বাজারে বা বাড়িতে অনেক সময় কাঁচা আমের সঙ্গে কোন মশলা বা কাঁচা লঙ্কা অথবা শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়। সেটিকে মুখরোচক করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।কিন্তু, কখনোই আমের সাথে কোন মশলাদার জিনিস বা লঙ্কা খাওয়া একদমই উচিত নয় কারণ এটিও পেটের অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে

• আম ও তেতো:
আমের সাথে কোন রকম তেতো জাতীয় জিনিস খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ এটি খেলে পেটে অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে হজমের সমস্যা হয়। যেমন অ্যাসিডিটি, জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সৃষ্টি হয়।

• আম ও কোল্ড ড্রিঙ্কস:
আম খাওয়ার পরে বা আম খেতে খেতে কোন রকম কোল্ড ড্রিংকস খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এটিতে পেটের অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া, আমে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে এবং কোল্ড ড্রিংকসেও চিনির মাত্রা বেশি থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যেটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব বিপজ্জনক হতে পারে।

• আম ও ঠান্ডা জল:
আম খাওয়ার পর ঠান্ডা জল খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ এর ফলে শরীরে রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যেটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর জল খাওয়া উচিত। অনেক সময় পেটে ব্যথা, গা বমি, আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে।