আবার নামকাওয়াস্তে লকডাউন বৃদ্ধি হল রাজ্যে। একদিকে সব খুলে দেওয়া হল, অন্যদিকে লকডাউন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হল। আনলকের আবহেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হল পশ্চিমবঙ্গে। এই রাজ্যে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন চলবে বলে সোমবার নবান্নে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে প্রায় পুরোদস্তুর খুলে গিয়েছে রাজ্য সরকারি অফিস। চালু হল বেসরকারি অফিস, শপিং মল, রেস্তোরাঁও। আজ থেকে রাস্তায় লোকজনের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল আগেই। এদিন নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন চলার কথা জানিয়ে দেন।
গত কয়েকদিনে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে, তাতে কিছুটা চিন্তা বেড়েছে সবারই। আনলক–১ চললেও এদিন বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেন, এবার থেকে ধর্মীয় স্থানে ১০ জন নয়, ২৫ জন একসঙ্গে অংশ নিতে পারবে। বিয়ে বাড়ি, শ্রাদ্ধ বাড়ি–সহ যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেও একসঙ্গে ২৫ জন হাজির থাকতে পারবেন। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, এটা কোন ধরণের লকডাউন? আসলে এটাও কেন্দ্রের মতো কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন। এটা আবার ঘোষণা করার কী দরকার ছিল? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
অফিস–কাছারি, শপিং মল, ধর্মীয় স্থান খুলে যাওয়ায় আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা তো রয়েই যায়। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণপরিহণ চালু হয়েছে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরবর্তীতে আরও বেশি হারে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই প্রত্যেকে সচেতন হন। নিয়ম মেনে চলুন।’ লোকাল ট্রেন চলছে না, অথচ অফিসে আসতে হচ্ছে কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে অনেকেরই ভরসা হয়ে উঠেছে সাইকেল। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় সাইকেল চলার বিষয়ে পুলিশকে নোটিফিকেশন জারি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ রাজ্যে বাড়ছে লকডাউন বলে ঘোষণা করা হল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে লজেস্টিক ও শিল্প পরিকাঠামো বিকাশে ১০৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই টাকা বিশ্বব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া গিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।