বাংলায় হ্যাটট্রিক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার করলেন দুশো আসন। আর তারপর কালীঘাটে বাড়ির সামনে মাইক হাতে মমতা বললেন, ‘সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন। বিজয় মিছিল এখন করবেন না। প্রথম কাজ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা। বাংলার জয়। বাংলাই পারে।’ নিজেও জিতলেন নন্দীগ্রাম থেকে। দলকেও জেতালেন রাজ্য থেকে। গোলকিপার হয়ে আটকে দিলেন সব গোল। কোচ–প্রশান্ত কিশোর।
নন্দীগ্রামে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ১২০০ ভোটে হারিয়ে জয়ের মুখ দেখেছেন মমতা। হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে টানটান লড়াইয়ের সাক্ষী রইল বাংলা। দিনভর চলল ওঠা–নামার খেলা। শেষ দফায় মাত্র ৮২০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ রাউন্ড ভোট গণনার শেষে ছয় ভোটে এগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফের তাঁকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল সুপ্রিমোই। আর ২০০ পার করেছেন তাঁর দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জযের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব, ওমর আবদুল্লারা।
গোটা বাংলা তথা দেশের চোখ এখন দেড় মাসের খেলার ফলাফলের দিকে। বিজেপি বলেছিল, আসল পরিবর্তন। বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় বলে মাঠে নেমেছিল তৃণমূল। আর একদল বলেছে, বিকল্প আমরাই। পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হতেই দেখা গেল রীতিমতো কাঁটে কা টক্কর। তৃণমূল প্রথম থেকেই বলে আসছে, পোস্টাল প্যালট নিয়ে তারা মাথা ঘামাচ্ছে না। সেই জায়গা থেকে পোস্টাল ব্যালটের ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে তৃণমূল লড়াইয়ের জমি থেকে এতটুকুও সরেনি। পোস্টাল ব্যালেটে গত লোকসভা নির্বাচনেও এমন ঝড় দেখেনি তৃণমূল বলে মনে করা হচ্ছে।