কেন্দ্রের পাল্টা রাজ্যের। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ। প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন গরীবদের জন্য নভেম্বর মাস পর্যন্ত ৫ কেজি রেশন ও ডাল দেওয়া হবে। ঠিক তারপরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নবান্নে ঘোষণা করেন, আগামী বছর জুন পর্যন্ত রাজ্যের মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রকে বলছি বাংলার ১০০ শতাংশ মানুষকে রেশন দিতে হবে। পাশাপাশি দেশের ১৩০ কোটি মানুষ যাতে রেশন পান তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, চলতি বছরেই যদি করোনা সমস্যা মিটে যায় তাহলে পরের বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন কেন? কেন্দ্রের ঘোষণার পরই রাজ্য সরকার এই ঘোষণা করল কেন? কেন্দ্র–রাজ্যের কী রেষারেষি চলছে? নাকি দু’জনেই ২০২১ সালকে পাখির চোখ করে এই প্রতিযোগিতায় নেমেছে? বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ওনারা নভেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা বলছেন। আমরা আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেব। ওঁরা আজ বলছেন দেবেন কাল দেবে না হয়তো। কেন্দ্রে যে রেশন দেয় তা রাজ্যের ৬০ শতাংশ মানুষ পায়, ৪০ শতাংশ মানুষ পায় না।
প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের পরই নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে বলেন, ‘এক দেশ এক রেশন কার্ডের বিষয়টা আমাকে আগে বুঝতে হবে। কেন্দ্র ঠিক কী চাইছে সেটা না জেনে আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারব না।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, আনলকের সময়ে প্রাতঃভ্রমণের জন্য মানুষকে সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জন পর্যন্ত যোগ দিতে পারবেন। আগে এই সংখ্যা ছিল ২৫। শেষকৃত্য ২৫ জন যোগ দিতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘উনি কেন এসব বলছেন! আাগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত উনি থাকবেন না। লকডাউনের সময়ে গরীব মানুষের খাবারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। এটা আইন।’ উল্লেখ্য, আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রাজ্যের গরীব মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাবেন বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।