রাজ্যে প্রচণ্ড গরম পড়ার আগেই ভোটপ্রক্রিয়া মিটিয়ে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন। কলকাতা সফরে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। এপ্রিল মাসেই শেষ হবে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য সফরে এসে প্রশাসনিক কর্তাদের এই ইঙ্গিত দিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। এখন থেকেই নির্বাচন সংগঠিত করতে প্রশাসনিক কর্তাদের কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিন তিনি জানান, চলতি মাসেই রাজ্যে আসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কলকাতায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারাও। সেখানেই সুদীপ জৈন ইঙ্গিত দিয়েছেন, সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে কমিশন। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কোনওরকম বিশৃঙ্খলা, গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। এই রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সবরকম সম্ভাব্য পদক্ষেপ করবে কমিশন। চলতি মাসের শেষের দিকেই রাজ্যে আসবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
এপ্রিল মাসের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া শেষ করবে তারা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্য চার রাজ্যেও একইসঙ্গে চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনী প্রক্রিয়া সাধারণত শুরু হয় মার্চের প্রথম দিকে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হয় ভোটগণনা। গত কয়েকটি নির্বাচনে এই ধারা বজায় রয়েছে। তবে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল দশা হয় রাজনৈতিক নেতা, ভোটকর্মী ও ভোটারদের। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ থাকলে পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে।
মে মাসে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সে কথা জানিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ–সহ কেরল, অসম, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির নির্বাচন প্রক্রিয়া এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে চায় কমিশন। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ সুপারদের যত শীঘ্র সম্ভব জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলি কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রশাসনিক কর্তাদের কমিশনে রিপোর্ট দিতে বলেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।
সুদীপ জৈনের সঙ্গে এসেছেন কমিশন সচিব রাকেশ কুমার। বৃহস্পতিবারও ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁদের। সকাল থেকে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবের উপস্থিত ছিলেন। তারপর আয়কর ও শুল্ক বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সুদীপ জৈন। সেই বৈঠকে রাজ্যের ইবি’র কর্তারও থাকার কথা। এরপর বিকেলেই দিল্লি ফিরে যাবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।