ভোটগণনা শুরু হলেও এখনও অনেকটা পথ বাকি। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে বিজেপি নেতা কেসি ত্যাগীর দাবি, কোভিড পরিস্থিতির জন্যেই এই ফল। নীতীশের বিরুদ্ধে জনাদেশ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। তেজস্বী যাদব বা আরজেডি’র কাছে আমরা হারিনি। আমাদের হারিয়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। গত ৭০ বছরে যা যা হয়েছে সব কিছুর জন্য আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হয়েছে।’ এই কথা ভোটের আগেই হার মানার সামিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই–কে কেসি ত্যাগী বলেন, ‘একবছর আগে লোকসভা নির্বাচনে একটাও আসন জিততে পারেনি আরজেডি। লোকসভার হিসাব ধরলে জেডিইউ ও তার শরিকদের ২০০টি আসন জেতার কথা। নীতীশ কুমারের ভাবমূর্তি নষ্ট বা আরজেডির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়নি। কোভিডের প্রভাব পড়ায় আমরা হারছি।’
নীতীশের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান–বিরোধিতার হাওয়া যে রয়েছে সেটা নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা যেমন বুঝেছিলেন, তেমনই বুঝেছিল শরিক বিজেপিও। তাই নির্বাচনী প্রচারে এই জোটটিকে সেভাবে সংঘবদ্ধ হতে দেখা যায়নি।নীতীশের দলের এই বিশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে আখেরে লাভ হচ্ছে বিজেপি’র। বিহারে তাদের সেরা ফলাফলও গেরুয়া শিবিরে করে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক ভোটপ্রবণতায় এগিয়ে গিয়েছে এনডিএ। পিছিয়ে পড়েছে মহাজোট।