প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থান ও রূপরেখা একতরফাভাবে বদলাতে চাইছে চিন। কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই দাবি করেন সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত। তবে এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। চিনের মোকাবিলা করতে আমরা পুরোপুরি তৈরি। ডোকা লা প্রসঙ্গে রাওয়াত বলেন, ‘২০১৭ সালে এই সমস্যা তৈরি করে চিন। এই নিয়ে বাড়াবাড়ি হয়নি। পিএলএ সমস্যা জটিল করার চেষ্টা করছে। আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তাঁর দাবি, স্থলে, জলে, আকাশে সামরিকভাবে প্রস্তুত থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের সীমানা রক্ষায় চেষ্টায় ত্রুটি রাখবে না সেনাবাহিনী। লাদাখ উত্তেজনার মধ্যেই লাগাতার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। এই নিয়ে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘আমরা যেভাবে প্রস্ততি নিয়েছি বা একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছি তা বিপক্ষের চিন্তার কারণ রয়েছে।’ সীমান্তে আগ্রাসনের যে কড়া জবাব দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ তেমনটা হবে বলে আশা করেনি চিন। ফলে মান খুইয়ে শি জিনপিংও কিছুটা বেকায়দায়। তাই এবার দুই পড়শির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও তীব্র হয়েছে। বিপিন রাওয়াতের মন্তব্য চিনের প্রতি প্রচ্ছন হুমকি বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দেশের সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জের বিষয়ে রাওয়াত বলেন, ‘আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়ছি, সমুদ্রে চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ফলে আমরা ধীরে ধীরে আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছি। জলসীমার নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটা পেরেছি। দেশের জাহাজ নির্মাণ কারখানা গুলি তাতে আমাদের সাহায্য করেছে।’ উল্লেখ্য, লাদাখে টানা ১৫ দিন যুদ্ধ চালাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গোলাবারুদ, বুলেট, গ্রেনেড, ল্যান্ডমাইন ও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল–সহ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করছে ভারতীয় সেনা। বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ পূর্ব লাদাখের ভারতীয় সেনার ফরওয়ার্ড পোস্টগুলির খুব কাছে গোপন অস্ত্রভাণ্ডারে মজুত করা হচ্ছে। দেশের তিন বাহিনী যখন জুড়ে একটি প্লাটফর্মে আনা হয় তখন অনেকের খটকা লেগেছিল। এতে আমাদের শক্তি বেড়েছে। এখন আমরা একে অপরের পরিপূরক বলে দাবি রাওয়াতের।