শিশুরা একটি নির্দিষ্ট বয়সের আগে কথা বলতে পারে না। আর তাইতো তাদের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারগুলো নিজে থেকে বুঝে নিতে হয় মা-বাবাকে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চারা গুরুতর অসুস্থ হলে অধিকাংশ সময় শুরুতে বোঝা যায় না। যার ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না।
ইংল্যান্ডের জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) জো উইলিয়ামস দ্য সানে শিশুদের অসুস্থতা নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন। সেখানে তিনি কয়েকটি লক্ষণের কথা বলেছেন, যা দেখে শিশুদের গুরুতর অসুস্থতা বোঝা যাবে। জো বলছেন, প্রথম এক বছর বাচ্চার দিকে বেশি নজর রাখতে হয়। কারণ এই সময়ে তার ইমিউন সিস্টেম উন্নতির পথে থাকে।
এছাড়াও দুটো উপায়ে বোঝা যাবে আপনার বাচ্চা গুরুতর অসুস্থ। চলুন সেই উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক-
ঘুম
বাচ্চারা এমনিতে একটু বেশি ঘুমায়। তাতে ভয়ের কিছু নেই। কিন্তু আপনার বাচ্চা সাধারণত যতটুকু ঘুমায় হঠাৎ তার থেকে বেশি ঘুমালে সতর্ক হতে হবে। যদি এনার্জি লেভেল কমে যায়, কম খেলা করে তাহলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার আঁচ করতে হবে। যেকোনো প্রদাহের কারণেও বাচ্চা এমন করতে পারে।
অনবরত কান্না
খুব অল্প বয়সে বাচ্চারা শুধুমাত্র কান্নার মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী তার কান্নার ধরণও পাল্টে যায়। ক্ষুধা লাগলে একভাবে কাঁদে, ব্যথা পেলে আরেকভাবে। অভিভাবক হিসেবে এটি আপনার ধীরে ধীরে বুঝে যাওয়ার কথা। যদি বাচ্চা একটানা কাঁদতে থাকে তাহলে তার পেটে ব্যথা কিংবা কানের ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।